ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দিবে সরকার
বর্তমান দুনিয়ায় ফ্রিল্যান্সিংকেও পুরোপুরি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেকেই। এখানে প্রকল্প ভিত্তিতে একের পর এক কাজের সুযোগ থাকে। যেকোনো জায়গায় বসে বিশ্বের যেকোনো কাজ করা যায়। এ ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারের কাজের ওপর ছড়ি ঘোরানোর কেউ থাকে না বলে প্রতি বছর এখাতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।
রাষ্ট্রীয় কোন নীতিমালা না থাকায় হরহামেশাই প্রতারণা শিকার হন অনেক ফ্রিল্যান্সার। অর্থ লেনদেনের মাধ্যম পেপ্যাল না থাকায় ব্যাংকে দিনের পর দিন আটকে থাকে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ। ডলার ও ইউরো বিনিময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেট মানে না বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এমন নানামুখী সমস্যায় জর্জড়িত দেশের ফ্রিল্যান্সাররা। তবে, ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কাজ করা ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে ভাবতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তারা স্মার্ট, ভালো আয় করেন, কিন্তু পেশার স্বীকৃতি না থাকায় বিয়ে করতে সমস্যা হয় তাদের।
১৮ আগস্ট ২০২০, মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশনা দেন বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বর্তমানে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের তৃতীয় ক্ষেত্র। বিশ্বে এখন বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা প্রতিবছর প্রায় একশ’ মিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স অর্জন করছে।
বাংলাদেশে প্রায় ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এ ফ্রিল্যান্সারদের কথা ভেবে তাদের উন্নয়নে এবং দেশের তরুণদের এ মুক্তপেশায় উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সহায়তা করার প্লাটফর্ম করেছে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, দেশের প্রায় ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সারকে পরিচয়পত্র দিতে কাজ শুরু করছে সরকার। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটি ‘ফ্রি কার্ড’ চালু করতে যাচ্ছে। সেই কার্ডের নাম হবে ফ্রি কার্ড। তথ্য-প্রযুক্তিতে রফতানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার একটা বড় ক্ষেত্র হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এবং পুরো পৃথিবীতে এ মুহূর্তে ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের মার্কেট যেটি আইটি ফ্রিল্যান্সার, বলেন পলক।
ফ্রিল্যান্সারদের এ পরিচয়পত্র বা ফ্রি কার্ডে ব্যক্তিগত তথ্য, মোবাইল নম্বরসহ বিশেষ কোড থাকবে, যেগুলোর মাধ্যমে তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে এবং ব্যাংক লোনসহ বিভিন্ন সুবিধা পাবেন।