বরিশাল বিভাগসারাদেশ

আমতলী থানার এসআইকে পিরোজপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন আমতলী থানার এসআই মেজবাহ উদ্দিন (৫৫)। তাকে তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নের বাদুড়া গ্রামে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ জুন) রাতে পিরোজপুর জেলা পুলিশের গার্ড অব অনার দিয়ে ও স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম মেনে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয় । মেজবাহ উদ্দিন বাদুড়া গ্রামের মো. ফখরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে ।

এসআই মেজবাহ উদ্দিন জেলা আর্মড পুলিশে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতি তাকে বরগুনা জেলার আমতলী থানায় সংযুক্ত করা হয়েছিল। ২৬ জুন তিনি জ্বরে আক্রান্ত হলে ওই দিনই তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাঁকে রোববার (২৮ জুন) বরিশাল বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে পাঠায়। পরে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই রাতেই তাকে শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সোমবার বিকেলে তিনি মারা যান।শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন জানান, হাসপাতালে ভর্তির সময় রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকায় তীব্র শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল তার। ভর্তির পর তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। তবে মেজবাহ উদ্দিন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি না তা নিশ্চিত হতে মৃত্যুর পরে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

দাফন শেষে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান এসআই মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী ওছেলেমেয়েসহ নিকটাত্মীয়দের সমবেদনা জানান এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী আগে থেকেই কবর খোঁড়া ও জানাজাসহ দাফনের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখে পিরোজপুর জেলা পুলিশ। তার মরদেহ গ্রহণ করার পর তাকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার জানান পিরোজপুর সদর থানার (ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল ও পুলিশ সদস্যবৃন্দ। পরে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী জানাজায় অংশ নেন পিরোজপুর জেলার পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান । জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *