পিরোজপুরে সংক্রমনের হার ৪৫ শতাংশ চলছে কঠোর লকডাউন
পিরোজপুর জেলার ৭ টি উপজেলাতে সকাল থেকে চলছে কঠোর লকডাউন। লকডাউন সফল করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার মাঠে রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শহরগুলোর দোকান বন্ধ রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৮০ জন করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে এবং পিরোজপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে সদর উপজেলায় ৩ জন এবং ভান্ডারিয়ায় ১ জন মারা গেছে। পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ৪৪ জন এবং ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে ৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। জেলায় মোট সংক্রমনের হার ৪৫ শতাংশ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, জেলাতে ১০ হাজার স্যাম্পল পরিক্ষা করে ২ হাজার ২ শত ৭৫ জন পজেটিভ হয়েছে। এদের মধ্যে ৪০ জন মারা গেছে এবং ১ হাজার ৬ শত ৮৪ জন সুস্থ্য হয়েছে। জেলায় মোট আক্রান্ত ৪৫ শতাধিক রোগী।
এয়াড়াও জেলার মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ, কাউখালী, ইন্দুরকানী, নাজিপুর উপজেলার বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে কঠোর লকডাউন পালনা করা হচ্ছে। এসব উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাঁশ বেধে দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী করে লকডাউন পালন করা করছে প্রশাসন। বিগত এক সপ্তাহে পিরোজপুরে ৩৫ থেকে ৫৫ শতাংশ করোনা সংক্রমন থাকলেও বর্তমানে সংক্রমনের হার উর্ধ্বগতির দিকে যাচ্ছে এবং জেলা হাসপাতাল একদিনে ৪৪ জন রোগী এর আগে কখনো ভর্তি হয়নি বলে জানান সিভিল সার্জন ডা: মো: হাসনাত ইফসুফ জাকী।
সিভিল সার্জন ডা: মো: হাসনাত ইফসুফ জাকী জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১৮২ টি স্যাম্পল পরিক্ষা করে ৮০ জনকে পজেটিভ পাওয়া গেছে। জেলা হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ওয়ার্ডে ২৮ জন এবং আইশলিশনে ১৭ জন রোগী সহ মোট ৪৪ জন রোগী ভর্তি আছে। জেলায় ৪ জন রোগী মারা গেছে। করোনা ওয়ার্ডে সেন্টাল অক্সিজেন সহ আমাদের অক্সিজেনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।
পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক লকডাউনকে সফল করতে আমাদের জেলা পুলিশের পাঁচ শতাধিক পুলিশ সদস্য মাঠে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৪০ টি চেকপেষ্টে বসানো হয়েছে এয়াড়াও আমাদের মোবাইল ডিউটি, পেট্রল ডিউটি এবং পিকেট ডিউটিতে তৎপর রয়েছে। কেউ ঘর থেকে বের হলে তাকে জবাবদিহি করা হবে উপযুক্ত কারন ব্যতীত বের হলে আইনানুক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন জানান, সকাল থেকেই জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার মাঠে থেকে যৌথ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে বিনা প্রয়োজনে কেউ রাস্তায় থাকলে মোবাইল কোর্টেও মাধ্যমে আইনানুক ব্যবস্থা নেয় হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা চলমান রয়েছে।