পিরোজপুরে ভাণ্ডারিয়ার যুবক সাকিল হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন ও দুজনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
পিরোজপুরে ভাণ্ডারিয়ার যুবক সাকিল হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন ও দুজনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোহা. মহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন। এ সময় আসামিদের আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো, সোহেল রানা, মিলন ঘরামী, মাসুম বিল্লাহ ও আল-আমিন এবং পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো হিরু ও লিটন।বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. খান মো. আলাউদ্দিন জানান, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ রাতে আসামি সোহেল রানা, মিলন ঘরামী, মাসুম বিল্লাহ ও আল-আমিন মোবাইলে ফোন করে বাড়ি থেকে সাকিলকে ডেকে নিয়ে যায়। সাকিলের মোটরসাইকেল চুরি করার জন্য আসামিরা সাকিলকে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার শিংখালী গ্রামের একটি ধানক্ষেতে নিয়ে যায়। রাতে সেখানে আসামিরা মোটরসাইকেলের ক্লাসের তার দিয়ে সাকিলের গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। পরে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে লাশ উদ্ধার হলে সাকিলের মা আলেয়া বেগম বাদী হয়ে ২০১৪ সালের ১০ মার্চ ভাণ্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর আদালত মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) এ আদেশ দেন।
নিহত সাকিল (২০) জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ভাণ্ডারিয়া সদর গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র।