করোনাশীর্ষ খবরসর্বশেষ

পিরোজপুরে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের হার প্রায় ৩০ শতাংশ

সারা দেশের ন্যায় পিরোজপুরেও বেড়ে চলছে করোনা রোগীর সংখ্যা। জেলার ৭টি উপজেলায় প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। আজ মঙ্গলবার পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে করোনা পজেটিভ হয়েছে ৩ জন রোগী গত কয়েকদিনে আরো ৭ জন নিয়ে মোট ১০ জন করোনা পজেটিভ এবং রোগী করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসলিশনে ৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। গতকাল পুরানো ও নতুন রোগীর ১১৭ টি স্যাম্পল পরিক্ষা করে ৩৬ জনকে পজেটিভ পাওয়া গেছে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, এ পর্যন্ত জেলাতে আমরা ৯ হাজার ২শত ৬৮টি স্যাম্পল পরিক্ষা করে ১ হাজার ৮ শত ৯০ টি পজেটিভ পেয়েছি। এদের মধ্যে ১ হাজার ৬ শত ২৬ জন সুস্থ্য হয়েছে এবং ৩২ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। জেলাতে ২ শত ৩২ জন রোগী করোনা আক্রান্ত রয়েছে। হাসপাতালে নামমাত্র কয়েকজন ভর্তি থাকলেও বাকিরা সবাই বাড়িতে হোম আইসলিশনে রয়েছে।

মে মাসে পিরোজপুরে করোনা পরিক্ষা করা হয় ৫২৭ টি স্যাম্পল এদের মধ্যে ৮৯টি স্যাম্পল পজেটিভ আসে এবং সংক্রমনের হার ছিলো শতকরা ১৬.০৯ শতাংশ। জুন মাসে ১৫ তারিখ পর্যন্ত পিরোজপুরে করোনা পরিক্ষা করা হয় ৪১২ টি স্যাম্পল এদের মধ্যে ৮২টি স্যাম্পল পজেটিভ আসে এবং সংক্রমনের হার শতকরা ১৯.৯০ শতাংশ। গত কয়েকদিনে জেলার ৭ টি উপজেলায় করোনা সংক্রমনের হার শতকরা প্রায় ৩০ শতাংশ।

অনেক রোগী ও রোগীর স্বজনরা দাবী করছেন পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ড থাকলেও তেমন সেবা পাচ্ছে না রোগীরা। শুধু মাত্র অক্সিজেন দিয়েই ফেলে রাখা হচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের। এতে রোগীদের অবস্থা আরো বেশি খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। তবে পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকার কথা স্বীকার করেছেন সিভিল সার্জন।

সিভিল সার্জন ডা: মো: হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, কয়েকদিন ধরে করোনা রোগীর চাপ বেশি রয়েছে। প্রতিদিনই প্রায় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল ১১৭ টি স্যাম্পল পরিক্ষা করে ৩৬টি স্যাম্পল পজেটিভ পাওয়া গেছে। বর্তমানে জেলাতে সংক্রমনের হার শতকরা প্রায় ৩০ শতাংশ। আমাদের করোনা ওয়ার্ডে ৩২ টি বেডের ব্যাবস্থা রয়েছে এবং সেন্টাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধঅপের করোনা টিকা প্রদানের পরে এবারে তৃতীয় ধাপে ৬ হাজার ডোজ করোনা টিকা পেলেও শুধুমাত্র সেবিকা শিক্ষার্থী ও পূর্বেও রেজিষ্ট্রেশন কারীদের চায়না টিকা দেয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *